মাংকি পক্স একটি বিরল ধরনের রোগ | এই রোগটি প্রথমে পশ্চিম ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোতেই দেখা দিতো তবে ২০০৩ সালে এটি আফ্রিকার বাইরে দেখা গেছলো কিন্তু সাম্প্রতি অনেক দেশেই এর সংক্রামণ দেখা দিচ্ছে ৷
মাল্কিপক্সের উপসর্গ : এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর , মাথাব্যথা , হাড়ের জয়েন্ট , মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ । জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয় । এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে । পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায় । এই গুটির জন্য রোগীর দেহে খুব চুলকানি হয় । পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয় । গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায় । যেভাবে ছড়ায় মাঙ্কিপক্স : সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায় । শ্বাস - প্রশ্বাসের মাধ্যমে , ত্বকের ক্ষত থেকে , নাক , মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন , বানর , ইঁদুর , কাঠবিড়ালি , এমনকি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে ।
কতটা বিপজ্জনক এই মাঙ্কিপক্স ? : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু । এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতোই এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন ।তবে এ রোগে মৃত্যু ১০ শতাংশ বলে জানা গেছে ।
মাংকি পক্স কিভাবে ছড়ায় : যখন কেউ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন , তখন মাঙ্কিপক্স ছড়াতে পারে । ভাইরাসটি শরীরের কোষত্বক , শ্বাসতন্ত্র বা চোখ , নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে । এটি সংক্রামিত প্রাণী যেমন বানর , ইঁদুর ও কাঠবিড়ালির সংস্পর্শে বা ভাইরাস “ দুষিত বস্তু যেমন বিছানা ও পোশাকের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে ।
চিকিৎসা : মাঙ্কিপন্সের কোনো চিকিৎসা নেই , তবে সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায় । মার্কিপঞ্জ প্রতিরোধে গুটিবসন্তের বিরুদ্ধে টিকা ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ