অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মতো আপনার কম্পিউটার হার্ডডিস্কেরও একটি নির্দিষ্ট আয়ু আছে । অনেকেই হার্ডড্রাইভ হঠাৎ নষ্ট বা ক্র্যাশ হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন না । ফলে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে ।
পিসির ইন্টারনাল হার্ডড্রাইভ স্টোরেজের আয়ু সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর হয় এবং এক্সটারনাল বা পোর্টেবল হার্ডডিস্কের আয়ু ধরা হয় ৩ থেকে ৫ বছর । তবে বিষয়টি তাপমাত্রার ওঠানামা, আর্দ্রতা ও নানা বাহ্যিক অবস্থার ওপরেও নির্ভর করে। এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ সহজে বহনযোগ্য বলে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয় । এতে এর আয়ু কমে যায় ।
Image by OpenClipart-Vectors from Pixabay
চলুন জেনে নিই হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ হওয়ার কিছু লক্ষণ যাতে সময় থাকতেই গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ব্যাকআপ রাখতে পারেন । চাইলে ক্লাউড স্টোরেজে ব্যাকআপ রেখে দিতে পারেন ।
১. কম্পিউটার গতি কমতে থাকলে এবং কম্পিউটার বারবার হ্যাং হতে শুরু করলে বা ব্লু স্ক্রিন অব ডেথ দেখালে বুঝবেন আপনার হার্ডড্রাইভ শেষের পথে । এগুলো হার্ডড্রাইভের কার্যক্ষমতা কমার সম্ভাব্য লক্ষণ । এ ধরনের সমস্যা হয়তো সব সময় দেখবেন না, কিন্তু উইন্ডোজ সেফ মোড বা নতুন করে ইনস্টলেশন দেওয়ার সময় যদি এ ধরনের সমস্যা দেখেন, তবে বুঝবেন হার্ডড্রাইভ ঠিকমতো কাজ করছে না ।
২. হার্ডড্রাইভ অকার্যকর হওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে ফাইল না খোলা এবং কোনো কারণ ছাড়াই ফাইল গায়েব হয়ে যাওয়া বা ফাইল করাপ্ট হয়ে যাওয়া ।
৩. যদি খুব বেশি ব্যাড সেক্টর দেখতে পান, তবে বুঝবেন হার্ডড্রাইভের অবস্থা শোচনীয় । ব্যাড সেক্টর হচ্ছে হার্ডড্রাইভের ত্রুটিপূর্ণ এলাকা, যে এলাকাগুলো ডেটা রিড বা রাইট করার অনুরোধ পেলেও সাড়া দেয় না । বড় আকারের ডিস্ক ব্যবহার করা হলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন । উইন্ডোজ এসব ব্যাড সেক্টর পরীক্ষা করতে মাই পিসি থেকে ড্রাইভ পার্টিশন প্রপার্টিজে আগে যেতে হবে । মাই পিসিতে রাইট ক্লিক করে প্রপার্টিজে আগে যেতে হবে । এরপর টুলস থেকে এরর চেকিংয়ে ক্লিক করতে হবে । অপটিমাইজেশন করতে অপটিমাইজ অ্যান্ড ডিফ্র্যাগমেন্ট ড্রাইভ করা যাবে ।
৪. হার্ডড্রাইভ থেকে যদি একই শব্দ বারবার শোনা যায় বা কোনো কিছু গুঁড়ো করার মতো শব্দ আসতে থাকে, তবে বুঝতে হবে হার্ডড্রাইভ প্রায় শেষের পথে । বারবার শব্দ আসার বিষয়টিকে ‘ক্লিক অব ডেথ’ বলা হয় । কোনো কিছু রাইট করতে বা এরর ঠিক করার প্রক্রিয়ার সময় এ শব্দ তৈরি হয় ।
0 মন্তব্যসমূহ