পটভূমিঃ পরিবার একটি সার্বজনীন পদ্ধতি, সামাজিক জীবনে ইহা একটি মৌলিক ভিত্তি । বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন সংস্কৃতির পরিবারের ভূমিকাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, মধ্যযুগে ইউরোপেও পারিবারিক ক্ষেত্রে পুরুষ প্রাধান্য দিয়েই পরিবার গড়ে উঠতো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সমাজে পরিবার চালনার ক্ষেত্রে মেয়েদের তেমন গুরুত্ব দেয়া হতো না ।
অথচ পরিবার গঠনের নিয়মই হলো পুরুষ ও মহিলা সমানভাবে অধিকার পাবে । বিশ্ব সমাজে এরূপ পরিবারের পরিবর্তনের প্রতি জাতিসংঘ বিশেষ মনযোগ দেয় । জাতিসংঘ চায় পরিবারে স্বামী স্ত্রীর ভূমিকা সমান হবে। সদস্যদের অধিকার হবে সমান, মর্যাদা হবে যথাযোগ্য ক্ষমতা কুক্ষিগতভাবে কারো হাতে একত্রিত থাকবে না । কেননা পরিবার হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের আয়না । বিদ্যমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পরিবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । মানবাধিকার জনসংখ্যা এবং মাহিলাদের অগ্রগতি পরিবার দ্বারা প্রভাবিত । রাষ্ট্রের সামাজিক উন্নয়নের জন্য পরিবারের ভূমিকা দায়িত্ব এবং অধিকার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।
সুতরাং জাতিসংঘ মনে করলো এ সকল বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পরিবার দিবস পালন করা জরুরী । জাতিসংঘ মনে করে মৌলিক মানবিক অধিকার মানুষের মর্যাদা ও মূল্য ছোট বড় জাতি, স্ত্রী-পুরুষ সকলে সমান অধিকার ভো করবে । এই সকল দিকে লক্ষ্য করে ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ই মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয় ।
0 মন্তব্যসমূহ