Image by diema from Pixabay |
পটভূমি : উল্লেখ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মানুষ ধুমপানের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ১৯৭০-এর মাঝামাঝি ধুমপানের প্রতি মানুষের বেশি আকর্ষণ লক্ষ করা যায় । মহিলারা ধুমপান শুরু করে ১৯৩৯-১৯৪৫ এর যুদ্ধ চলাকলীন সময়ে । ক্রমশ ধুমপানে নারী পুরুষ সমানভাবে নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে । অথচ তখন মানুষ জানতো না ধুমপানে কি ক্ষতি হয় । এই ধুমপান বা তামাকের ব্যবহারের কারণেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হয় । ১৯৬২ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান ধুমপানের সাথে শারীরিক অসুস্থতার সম্পর্ক নির্ণয় করে । এরপর আমেরিকার সার্জান জেনারেল ১৯৭০ সালে বলেন “ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর” এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞগণ ১৯৭৮ সালে প্রমাণ করেন পরিবেশ যোগ্য অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যুর কারণসমূহের মধ্যে ধুমপান অন্যতম । এভাবেই ধুমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তৎপর হয়ে উঠে ধুমপান ও তামাকের বিরুদ্ধে জেগে ওঠে সমাজের সচেতন মানুষ । গৃহীত হয় ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ ।
সুইডেন, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ইত্যাদিসহ অনেক দেশ ধুমপানের বিরুদ্ধে গড়ে তোলে আইনগত প্রতিরোধ । এভাবে ধুমপানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধর তীব্রতা গড়ে ওঠে প্রায় তিন দশক আগে । ১৯৭৮ সালে বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নজরে আসে যার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস ঘোষণা করে । সেই থেকে বিশ্ব সংস্থার সকল সদস্য দেশে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে ।
0 মন্তব্যসমূহ