Image by trustedreviews.com |
রিফারবিশড ফোন
রিফারবিশড ফোন মূলত পূর্বে ব্যবহারকৃত বা ইউজ করা ফোন অর্থাৎ নতুন নয় । মনে করুন, আপনি অ্যাপেলের নতুন একটি আইফোন ক্রয় করেছেন এবং স্বাভাবিকভাবে অ্যাপেল ফোনটি কেনার দিন থেকে আগামী ১২মাসের জন্য আপনাকে রিপ্লেসমেন্ট এন্ড সার্ভিস ওয়ারেন্টি প্রদান করে থাকে । ফোনটি ব্যবহারের ২-৩ মাসের মধ্যে যদি ফোনের কোন পার্টস এ ক্রটি দেখা দিল । এখন পলিসি অনুযায়ী সে ফোনটির জন্য আপনি কোম্পানির কাছে রিপ্লেসমেন্ট দাবি করতে পারেন এবং কোম্পানিও রিপ্লেস করে দিতে বাধ্য । যাইহোক শেষ পর্যন্ত কোম্পানির কাছ থেকে ক্রটিপূর্ণ ফোনটি বদলে নতুন ফোন তো পেয়ে গেলেন । তবে কোম্পানি কিন্তু আপনার ক্রটিপূর্ণ ফোনটি ফেলে দেয় না । তারা ত্রুটিপূর্ণ পার্টস যেমন-মাইক্রফোন/ব্যাটারি/ক্যামেরা সঠিকভাবে কাজ না করলে সেগুলো সারিয়ে নেয় এবং আবারও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে । আর এ ধরণের ফোনগুলোই রিফারবিশড ডিভাইস হিসেবে পরিচিত ।
রিফারবিশড ফোন কেনা কি ভালো হবে?
হ্যাঁ, রিফারবিশড ফোন কিন্তু কপি বা রেপ্লিকা নয়, অরিজিনাল ফোন । বলতে পারেন সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন যার ত্রুটিপূর্ণ পার্টস রিপ্লেস করা হয়েছে । তাই এ ফোনগুলোর দাম নতুন ফোনের তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে । রিফারবিশড ফোন কিনতে চাইলে অফিসিয়েল রিফারবিশড ফোন ছাড়া কোনো অবিশ্বস্থ জায়গা থেকে কেনা উচিত নয় এবং অবশ্যই ফোনের ওয়ারেন্টি বুঝে নিতে হবে ।
রিফারবিশড ফোন চেনার উপায়
আইফোন/আইপ্যাড
আপনার আইফোনটি রিফারবিশড কিনা চেনার জন্য নিম্নের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন।
১. আইফোনের Settings হতে General > About এ যেতে হবে । এখন নিচে স্ক্রোল করে Model সেকশনে ভালোভাবে দেখুন ‘PP2/A’ বা ‘NN572LL/A’ এরকম নম্বর থাকবে ।
এখন মডেল নম্বর দিয়ে বুঝবেন যেভাবে-
যদি মডেল নম্বরটি ‘M’ বা ‘P’ শুরু হয় তাহলে ফোনটি রিটেইল মডেল এবং রিফারবিশড নয় ।
যদি মডেল নম্বরটি ‘F’ শুরু হয় তাহলে ফোনটি অ্যাপেলের দ্বারা অফিসিয়েলি রিফারবিশড করা ।
যদি মডেল নম্বরটি ‘N’ শুরু হয় তাহলে ফোনটি আন-অফিসিয়েল বা থার্ড-পার্টি দ্বারা রিফারবিশড করা ।
Image from PxHere
২. তাছাড়া এর ব্যতিক্রম হলে পুনরায় Settings হতে General > About এ যেতে হবে । এখন নিচে স্ক্রোল করে Serial Number সেকশনে ভালোভাবে দেখুন ‘QRFRC4’ বা ‘ABCDEFG8HJ84’ এরকম নম্বর থাকবে । তারপর অ্যাপলের কাভরেজ পেজ https://checkcoverage.apple.com/ নিজের সিরিয়েল নম্বরটি টাইপ করে Continue ক্লিক করুন । এখন ফোন স্ট্যাটাস চেক করুন, যদি ফোনটি ব্রান্ড নিউ হয় তাহলে উপরে ‘This phone has not been activated’ লেখা থাকবে । আর যদি পুরাতন বা ব্যবহৃত হয়ে থাকলে উক্ত লেখাটি থাকবে না, অর্থাৎ স্ট্যাটাসে অ্যাক্টিভেড ডিভাইস হিসেবে দেখাবে ।
অ্যান্ড্রয়েড
প্রথমে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ডায়েল পেডে গিয়ে ##786# ডায়েল করুন । প্রদর্শিত RTN স্ক্রিন হতে View-এ ট্যাপ করুন । [কাজ না করলে *#*#786#*#*]
কিছু স্ক্রল করে নিচে গেলে Refurbished status বা Reconditioned status দেখতে পাবেন । এখন Status : যদি Yes থাকলে এটি রিফারবিশড ফোন এবং No থাকলে রিফারবিশড নয় ।
0 মন্তব্যসমূহ