প্রাথমিক কথা
সাধারনত প্রচন্ড গরমে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত ঘাম নিঃসৃত হয়ে দেহ পানিশুণ্য হয়ে পড়ায় মস্তিষ্কের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ব্যহত হয় । এর ফলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং দ্রুত চিকিৎসার অভাবে মারাও যেতে পারে ।
Heat stroke by Nick Youngson CC BY-SA 3.0 Pix4free |
কারন সমূহ
১। অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘ সময় কাজ করা ।
২। অতিরিক্ত ঘামের ফলে দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়া ।
৩ । শরীরের ঘাম বেরুতে না পারলে ।
৪। বাতাস চলাচলে অসুবিধাজঙ্ক এমন আঁটসাঁট পোষাক ।
৫। পানি কম পান করা ।
লক্ষন সমূহ
১ । শরীরের তাপমাত্রা প্রচন্ড বেড়ে যাওয়া ও ঘাম না হওয়া । ও
২। খিঁচুনি ও বমি ।
৩ । হ্যালুসিনেশন ও চোখে ঝাপসা দেখা ।
৪ । অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ।
৫। ত্বক লাল হয়ে যাওয়া ।
৬। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা । ও
৭। ক্লান্তি , মাংস পেশির খিঁচুনি , হঠাৎ অসংলগ্ন আচরণ ।
প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
রোগীকে ছায়ায় নিয়ে আসুন । বাতাস করুন এবং প্রচুর পানি পান করান । প্রয়োজনে মাথায় পানি ঢালুন ।
১। রোগীকে দ্রুত কোন ঠান্ডা স্থানে এনে শুইয়ে দিন ।
২। সমতল জায়গায় সোজা করে শুইয়ে পা একটু ওপরে তুলে রাখুন । পায়ের নিচে বালিশ বা অন্য কিছু দিতে পারেন ।
৩। ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে পুরো শরীর স্পঞ্জ করে দিন ।
৪। চেষ্টা করুন ফ্যানের কাছাকাছি বা এসি রুমে নিয়ে যেতে না পারলে হাতপাখা দিয়েই বাতাস করুন ।
৫। থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখুন । ১০২ ডিগ্রীর নিচে না নামা পর্যন্ত তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন ।
৬। রোগীর ঘাড়ের নীচে , হাতের তলায় , পেটের নীচের অংশে বরফ দিন ।
৭। রোগী কিছু খাওয়ার অবস্থায় থাকলে তাকে পানি খেতে দিন ।
আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা
১। ভুলেও কোন ওষুখ খাওয়াতে যাবেন না । প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও যদি রোগীর অবস্থার উন্নতি না হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান ।
২। অতিরিক্ত রোদ্রে কাজ না করার চেষ্টা করবেন ।
৩। প্রচুর পানীয় যেমন গ্লুকোজের পানি , ডাবের পানি পান করুন ।
৪। ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন ।
৫। গরমের সময় সান গ্লাস ব্যবহার করুন ।
0 মন্তব্যসমূহ