eSIM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে embedded SIM | এটি হচ্ছে নন-ফিজিক্যাল ও রি-রাইটেবল সিম | একটু বুঝিয়ে বলি, আমরা সাধারণত যেসব সিম চালাই সেগুলো সিম কার্ড হিসেবে পরিচিত যা এক ডিভাইসের সিমস্লট থেকে খুলে অন্য ডিভাইসে লাগানো যায় আর আমরা এভাবেই ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু ই-সিম এর ক্ষেত্রে হ্যান্ডসেটের মার্দার বোর্ডে চিপ আকারে আগে থেকেই যুক্ত থাকে এর ফলে ফিজিক্যালি সিম কার্ড লাগানোর কোনো দরকার হয় না ৷ আপনি শুধুমাত্র একটি কিউ-আর কোড স্ক্যানের মাধ্যমেই সিম একটিভ করতে পারেন।
Image by mohamed Hassan from Pixabay |
আপনি যদি ই-সিম ক্রয় করতে চান তার পূর্বে এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেয়া দরকার ।
ই-সিম (eSIM) এর সুবিধা সমূহ
- আলাদা করে সিমস্লটে সিম প্রবেশ করানোর প্রয়োজন নেই ফলে সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়া কিংবা সিমের নম্বর হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই ।
- ই-সিম এ দ্রুত এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্ক এ সুইচ করা যায় । আপনি চাইলে এক সাথে পরপর ৫টি রেজিষ্টারকৃত অপারেটর নেটওয়ার্কে সুইচ করতে পারবেন । তাহলে আপনি ৫টি ভার্চুয়াল সিম কার্ড ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন ।
Image source : VectorStock |
- ই-সিম সুবিধাসম্পন্ন ফোন কোথাও হারিয়ে গেলে অন্য যে কেউ চাইলেই ডিভাইস থেকে সিম খুলে ফেলতে পারবে না; আবার ই-সিমের তথ্যও মুছে ফেলা সম্ভব নয় । তাই ই-সিম সুবিধাসম্পন্ন ডিভাইস লোকেশন ট্র্যাক করা সহজ ।
ই-সিম (eSIM) এর অসুবিধা সমূহ
- ই-সিম কার্ড সকল ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় না । এটি শুধুমাত্রা ই-সিম সুবিধা সম্পন্ন ডিভাইসে চালানো যায় ।
- ই-সিমে ৫টি সিমকার্ড ভার্চুয়ালি চালানো গেলেও সমস্যা হচ্ছে একসাথে চালানো সম্ভব নয় । চালাতে একটির পর একটি নেটওয়ার্ক অপারেটর প্রোফাইল সুইচ করে চালতে হবে ।
0 মন্তব্যসমূহ