Image Source : dhakatribune.com |
বৈসুক :
ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসুক উৎসবের মাধ্যমে পুরানো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানায় । উৎসবের প্রথমদিন ত্রিপুরা ছেলেমেয়েরা ফুল দিয়ে ঘর সাজায় । কাপড় চোপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে । ঝুড়িতে ধান নিয়ে তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মোরগ-মুরগীকে ছিটিয়ে দেয় । ত্রিপুরা নব দম্পতিরা ও যুবক-যুবতীরা নদী থেকে কলসি ভরে পানি এনে গুরুজনদের গোসল করানেরা মাধ্যমে আশীর্বাদ গ্রহণ করে । ছেলেমেয়েদের বিচিত্র পিঠা আর বড়দের মদ ও অন্যান্য পানীয় পান করানো হয় । বৈসুক শুরুর দিন থেকে গরয়া বা খেরেবাই নৃত্য করে থাকে ।
সাংগ্রাই :
পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন তিনদিন ধরে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে । বছরের শেষ দুদিনের প্রথম দিন তারা পালন করে ‘ফারাং রিলং পোয়ে’ অর্থাৎ বুদ্ধের স্নান উৎসব । এদিন মারমা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ সবাই মিলে বৌদ্ধ মূর্তিগুলোকে নদীর ঘাটে নিয়ে যায় । তারপরের দিনগুলোতে শুরু হয় মারমা স্মপ্রদায়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান ‘রিলং পোয়ে’ অর্থাৎ জলকেলি উৎসব । এ উৎসবে আদিবাসীরা সবাই সবার দিকে পানি ছুঁড়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন যেন গত বছরের সব দুঃখ, পাপ ধুয়ে যায় ।
বিঝু :
চৈত্রের শেষ দুদিন এবং পহেলা বৈশাখ-এই তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ আদিবাসী সম্প্রদায় চাকমারা মহা সমারোহে বিঝু উৎসব পালন করে । উৎসবের প্রথমদিনকে চাকমারা বলে ‘ফুলবিঝু’, দ্বিতীয় দিনকে ‘মূলবিঝু’ এবং তৃতীয় ও শেষদিনকে তারা গোজ্যই হিসেবে পালন করে । উৎসবের প্রথমদিনে তারা বুদ্ধমুর্তিকে স্নান করায় । রাতে সারিসারি আলো জ্বালিয়ে সব গ্রামকে উৎসবের আলোতে উদ্ভাসিত করে রাখা হয় ।চৈত্রের শেষদিনকে মূলবিঝু হিসেবে পালন করা হয় । এটাই তাদের মূল উৎসব ।
0 মন্তব্যসমূহ